Section- 28 Offences under Penal Code
আইন আদালতকে ক্ষমতা দেয়। আইনের বাইরে আদালতের কোন ক্ষমতা নেই। এই ধারার বলা হয়েছে দন্ডবিধিতে বর্ণিত অপরাধ সমূহ কোন কোন আদালত বিচারের এখতিয়ার রাখে, তা ফৌজদারি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলের ৮ নং কলামে উল্ল্যেখ করা আছে।
তবে কোন ব্যাক্তি যদি একই সাথে দুইটি অপরাধ করে, যার একটি গুরতর আর অন্য একটু লঘূ এবং দুইটির বিচার একই সাথে করা সম্ভব। তবে দ্বিতীয় তফসিলের ৮ নং কলাম অনুযায়ী গুরতর অপরাধ বিচার করার এখতিয়ার যে আদালতের আছে, তার কাছেই মামলাটি পাঠাতে হবে।
Related Sections:
ধারা ১৯০
ধারা ১৯৩
Section- 29 Offences under other law
দণ্ডবিধি ছাড়া অন্য আইনে বর্ণিত অপরাধের জন্য সেই আইনে যদি কোন আদালতের কথা বলা হয়ে থাকে তবে তিনিই এই সব অপরাধের বিচার আমলে নিবেন।
29B Jurisdiction in the case of juveniles
মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ব্যাতীত অন্য কোন অপরাধ যদি কেউ সংগঠিত করে যার বয়স ১৫ বছরের কম তাহলে এই ধরনের অপরাধের বিচার করবে Chief Metropolitan Magistrate এবং Chief Judicial Magistrate, অথবা অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট যাকে সরকার কিশোর অপরাধ বিচারের জন্য স্পেশালি নিয়োগ প্রদান করেন।
29C Offences not Punishable with death
২৯ ধারাতে যাই বলা থাক না কেন, সরকার হাই কোর্ট এর সাথে পরামর্শ করে Chief Judicial magistrate, Chief Metropolitan Magistrate অথবা Additional Chief Magistrate দেরকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডনীয় নয় এমন সকল অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার অর্পণ করতে পারে।
এছাড়া Metropolitan Magistrate অথবা যে কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটদের কে মৃত্যুদণ্ড, যাব্বজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৪ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত নয় এমন সকল অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার অর্পণ করতে পারে।
Sentences which may be passed by Courts of Various Classes
Section- 31 Sentence which High Court & Sessions Judges may passed
হাইকোর্ট আইনে অনুমোদিত যে কোন দণ্ড দিতে পারেন।
দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত দায়রা জজও আইনে অনুমোদিত যে কোন দন্ড দিতে পারেন। তবে মৃত্যুদণ্ড দিলে হাইকোর্ট এর অনুমোদন নিতে হবে।
যুগ্ম দায়রা জজ মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও দশ বছরের অধিক কারাদণ্ড ব্যতীত আইনে অনুমোদিত যে কোন দণ্ড দিতে পারেন।
Section- 32 Sentences which Magistrate may pass
প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটঃ
১- কারাদণ্ড অনাধিক ৫ বছর।
২- নির্জন কারাবাস।
৩- জরিমানা অনাধিক ১০ হাজার টাকা।
৪- বেত্রাঘাত।
দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটঃ
১- কারাদণ্ড অনাধিক ৩ বছর।
২- নির্জন কারাবাস।
৩- জরিমানা অনাধিক ৫ হাজার।
তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটঃ
১- কারাদণ্ড অনাধিক ২ বছর।
২- জরিমানা অনাধিক ২ হাজার।
ম্যাজিস্ট্রেটদের যে সব শাস্তি দেবার অধিকার কাছে তা তারা একটির সাথে আরেকটি যুক্ত করে আইনসংগত যে কোন শাস্তি দিতে পারেন।
Section- 33 Imprisonment in default of fine
এই ধারায় জরিমান অনাদায়ে কারাদণ্ডের বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা অনাদায়ে আইনে অনুমোদিত পরিমাণ কারাদণ্ড দিতে পারে।
১- ৫০ টাকা পর্যন্ত জরিমানার ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।
২- ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানার ক্ষেত্রে অনুর্ধ্ব চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া যেতে পারে।
৩- অন্য ক্ষেত্রে অনুর্ধ্ব ছয় মাস এবং জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ড বিনাশ্রম কারাদণ্ড হবে।
তবে কারাদণ্ডের মেয়াদ এই কার্যবিধি অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারের বাহিরে হবে না।
যে ক্ষেত্রে আসামীকে কারাদণ্ড ও জরিমানা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়, এবং জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে যে অপরাধের জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়ে সেই অপরাধের জন্য দণ্ডবিধিতে বর্ণিত সর্বোচ্চ কারাদণ্ডের এক-চতুর্থাংশের বেশী কারাদণ্ড দেওয়া যাবে না।
Related section
দণ্ডবিধির ৬০ থেকে ৭০ ধারা পর্যন্ত।
Section- 33A Higher power of certain Magistrate
২৯-গ ধারাবলে বিশেষ ক্ষমতা প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট মৃত্যুদণ্ড ও যাব্বজীবন কারাদণ্ড ব্যাতীত সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারে।
Section- 35 Sentence of several offences at one trail
এই ধারায় একই বিচারে একাধিক অপরাধে দণ্ডিত ব্যাক্তির শাস্তি কি রকম হবে এই তা বলা হয়েছে। এই ধারা দণ্ডবিধির ৭১ ধারার অধীন। যে কাজসমূহের দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন অপরাধ হয় সেই ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত ব্যাক্তি শাস্তি পাবে। এবং মোট শাস্তির পরিমাণ যদি আদালতের এখতিয়ারের অধিক হয় তাহলে অপরাধীকে কোন উচ্চতর আদালতে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। তবে শর্ত থাকে যে, কোন অবস্থাতে এইরূপ ব্যাক্তিকে ১৪ বছরের অধিক কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে না, এবং কোন ম্যাজিস্ট্রেট যদি এমন মামলার বিচার করেন, তাহলে মোট শাস্তির পরিমাণ তার সাধারন এখতিয়ারের দিগুণ হবে না।
আপীল করার সময় ভিন্ন ভিন্ন অপরাধের জন্য প্রদত্ত দণ্ডমূহকে একটিমাত্র দণ্ড বলে উল্লেখ্য করতে হবে।
ম্যাজিস্ট্রেটদের সাধারণ ক্ষমতা বর্ণিত আছে তৃতীয় তফসিলে- ধারা ৩৬
সরকার অথবা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা চীফ জুডিশিয়াল অন্য (প্রথম, দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শ্রেণীর) ম্যাজিস্ট্রেটদের উপর চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত ক্ষমতা সমূহ আরোপ করে পারেন- ধারা ৩৭