Pages

Sunday, September 13, 2015

Judiciary Notes: Penal Code Part 2

Penal Code, 1860
পাস করা হয় 6th অক্টোবর ১৮৬০
১৮৬০ সালের ৪৫ নম্বর আইন।
কার্যকর হয় ১ম জানুয়ারি ১৮৬২।
মোট ধারা ৫১১ টি।
সর্বমোট পরিচ্ছেদ ২৩ টি।

উপমহাদেশে দন্ডবিধি প্রচলিত হওয়ার পূর্বেও দন্ডের বিধান ছিল, তবে এই ব্যাপারে সাধারণত ইসলামী আইন অনুসরণ করা হত। পরবর্তীতে ১৮০২, ১৮০৮, ১৮১৭, ১৮২৫ ও ১৮৩২ সালে অনেক রেগুলেশন জারি করা হয়১৮৩৩ সালের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সমগ্র ভারতবর্ষের জন্য একটি আইন কমিশন গঠন করে। লর্ড মেকলে প্রথম ভারতীয় আইন কমিশনের প্রধান ছিলেন। এই আইন কমিশনই প্তথম দন্ডবিধি প্রণয়ন করেন।

ধারা-২ Punishment of offences committed within Bangladesh
প্রত্যেক ব্যাক্তি বাংলাদেশের ভিতরে এই বিধির পরিপন্থি কোন কাজ করলেই অপরাধী হিসেবে গন্য হবে, এবং তার অপ্রাধের এই বিধির অধীনে দণ্ডিত হবে।

Related section:
Article 52 of Constitution:
রাস্ট্রপতি তাহার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যদি এই বিধির পরিপন্থি কোন কাজ করে থাকেন, তবে তার বিরুদ্ধে কোন আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি দায়ের ও কোন পরোয়ানা জারি করতে পারবেনা।

Section 132 of Penal Code:
সরাকারের অনুমোদন ব্যাতীত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোন অফিসার ও সৌনিকের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি আদালতে কোন মামলা কারা যাবেনা।



ধারা-৩ Punishment of offence committed beyond Bangladesh
বাংলাদেশের বাহিরে যে সমস্ত বাংলাদেশী অবস্থান করে, তাদের উপর এই বিধি প্রযোজ্য হবে। তারা যদি দেশের বাহিড়ে এমন কাজ করে যা বাংলাদেশের অপরাধ বলিয়া গণ্য হয়, তা হইলে তাদের কে এই বিধির আলোকে বিচার করা হবে।

ধারা-৪ Extension of Code to extra-territorial offence
ধারা ৪ অনুসারে Penal Code নিচে উল্লেখিত ব্যাক্তির উপর প্রযোজ্যঃ
১- কোন বাংলাদেশী দেশের বাহিরে যেখানেই অপরাধ করুক না কেন ?
২- বাংলাদেশের পতাকাবাহী বা রেজিষ্ট্রিকৃত যে কোন জাহাজ বা বিমানে যদি কোন (দেশী বা বিদেশী) ব্যাক্তি অপরাধ করে যা, Penal Code এর অধীনে অপরাধ বলে বিবেচ্য।

এই নিয়মের পিছনের কারণ হলো, সমুদ্রগামী জাহাজকে আইন একটি ভাসমান একটি দ্বীপ মনে করে; এই দ্বীপের মালিক সেই দেশ, যে দেশের পতাকা জাহাজ বহন করে বিমানের ক্ষেত্রেও একই নীতি প্রযোজ্য।
ধরা যাক কোন বাংলাদেশী ভারতে গিয়ে খুন করেছে, এবং বাংলাদেশে এসে আত্মগোপন করেছে এই রকম পরিস্থিতিতে তাকে দুইভাবে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে ?

১- তাকে সেই দেশে সমর্পন করা যায় যে দেশে সে অপরাধ করেছে।
২- বাংলাদেশেও তার বিচার করা যায়।
ঠিক এমনি করে যদি কোন বিদেশী বাংলাদেশের ভিতরে অপরাধ করে তবে তাকে ?
১- নিজ দেশে তাকে সমর্পন করা যেতে পারে ।
২- আবার তাকে বাংলাদেশেও এই দণ্ডবিধির অধীনে বিচার করা যেতে পারে।
এই বিধান বাংলাদেশের যে কোন জাহাজ ও বিমানে অবস্থানকারী ব্যাক্তিদের উপরেও প্রয়োগ হবে[এর procedure ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৮ নং ধারার অধীনে পরিচালিত হবে]
উভয়ক্ষেত্রে বিচার সম্পন্ন করার জন্য সরকারের অনুমোদন লাগবে। অনুমোদন ছাড়া বিচার করা নিষিদ্ধ। তবে সার্টিফিকেট তদন্ত বা বিচার শুরু হওয়ার পরও দেখানো যেতে  পারে।

ধারা- ৫ Special laws shall not be affected:
প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং রাষ্টীয় চাকুরীতে নিয়োজিত কর্মচারীদের বিদ্রোহ বা পলায়নের বিধান সম্পর্কিত আইন অথবা অন্যকোন স্পেশাল বা স্থানীয় আইন দণ্ডবিধির উপরে প্রাধান্য পাবে।
Related Section
ধারা ২৬ জেনারেল ক্লজেজ এ্যাক্টঃ
যখন কোন অপরাধ দুই বা ততোধিক আইনের অধীনে সংগঠিত হয়। এমতবস্থায় শুধুমাত্র একটি আইনের অধীনেই আসামির বিচার হবে এবং এজই অপ্রাধের জন্য দুইবার শাস্তি দেওয়া যাবে না।
A person shall not be liable to be punished twice for the same offence.

অনুচ্ছেদ ৩৫(২) বাংলাদেশ সংবিধানঃ
“No person shall be prosecuted and punished for the same offences more than once.”

ধারা- ২৩ Wrongful gain and Wrongful loss:
বেআইনীভাবে সম্পত্তি লাভ করাকে অবৈধ লাভ এবং বেআইনীভাবে কাউকে সম্পত্তিচ্যুত করাকে অবৈধ ক্ষতি বলা হয়। অবৈধ লাভ ক্ষতি শুধুমাত্র সম্পত্তির সম্পর্কে হতে পারে। এর অর্জন, বর্জন বা রক্ষন বেআইনীভাবে হতে হবে, তবেই লাভ ক্ষতি অবৈধ হবে। যেমন যে সম্পত্তির আইনগত কোন স্বত্বাধিকার নাই তাহা ধরিয়া রাখাকে অবৈধ লাভ বলা যায়। আবার সম্পত্তির স্বত্ব আছে কিন্তু দখল নাই, সে সম্পত্তি জোর করে দখল করলেও তা অবৈধ পন্থায় দখল হিসেবে গণ্য হবে। [AIR 1926 BOM, 97]

এই ধারা পর্যালচনা করলে আমরা দেখতে পায় দণ্ডবিধিতে অবিবেকী বা immoral কাজ কে অপরাধ বলা হয় নায়। তাই বেআইনীভাবে সম্পত্তি লাভ করাকে অবৈধ লাভ এবং বেআইনীভাবে কাউকে সম্পত্তিচ্যুত করাকে অবৈধ ক্ষতি বলা হয়।

Related Section
আলোচ্য আইনের ৪৩ ধারায় তাহাকেই বেআইনী বলা হয়েছে যা অপরাধমূলক এবং আইনে নিষিদ্ধ, এবং যা করলে মামলা মোকাদ্দমা (civil action) চলে।

MCQ

1.   দন্ডবিধি কোন ধরনের আইন ?
1.   Substantive
2.   Adjective

2.   বাংলাদেশের পতাকাবাহী কোন জাহাজে কোন বিদেশী নাগরিক অপরাধ করলে তার উপর দণ্ডবিধিটি প্রযোজ্য হবে কি না ?

3.   দণ্ডবিধির কত ধারায় জজ এর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে ?
-   ১৯
-   ২০
-   ২১

4.   দণ্ডবিধির কত ধারায় Counterfeit এর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে ?
-   ২৬
-   ২৭
-   ২৮
সাধারণত নকলকরণ বলতে অবিকল অনুসরণকে বুঝায় কিন্তু এই ধারার অধীনে অবিকল অনুসরণ না হলেও এবং মূল ও অনুকরনীয় বিষোয়ের মধ্যে পুংখানুপুংখু সাদৃশ্য না থাকলেও যদি এর দ্বারা প্রতারণা করা সম্ভব হয় তাহলে তা নকল করা হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।[AIR 1937 NAG, 80]

5.   Wrongful gain and Wrongful loss এর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে কত ধারায়?
-   ২২
-   ২৩
-   ২৪

6.   কত ধারায় Act and Omission (কাজ এবং বিচ্যুতি) এর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে ?
-   ৩৩
-   ৩৪
-   ৩৯

7.   Fraudulently এর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে কত ধারায়?
-   ২৩
-   ২৫
-   ২৭
অত্র ধারায় আসাধুভাবে শব্দটির পুর্নাঙ্গ সংজ্ঞা দেওয়া হয় নি, এই সংজ্ঞাটি শুধুমাত্র wrongful gain and wrongful loss এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য [AIR 1932 BOM, 545]

8.   Reason to believe এর কথা দণ্ডবিধির কত ধারায় বলা হয়েছে?
-   ২৬
-   ২৭
-   ১২

9.   Good Faith এর কথা দণ্ডবিধির কত ধারায় বলা হয়েছে?
-   52
-   53
-   49

10. Common intention এর কথা দণ্ডবিধির কত ধারায় বলা হয়েছে?
-   ৩৪
-   ৩৫
-   ৩৯
একই অভিপ্রায় পূরণ করার জন্য একাধিক ব্যাক্তি যখন কোন অপরাধমূলক করে, তখন তাদের প্রত্যেকেই  সেই অপরাধের জন্য সমান ভাবে দায়ী হবে। ১০২-ক ধারার সাথে এই ধারার পার্থক্য হলো ১২০-ক ধারায় অপরাধ সংগঠিত হওয়া বাধ্যতামূলক না। সাধারণ অভিপ্রায় পূরণ করার জন্য সবাই একত্রিত হলেও অপরাধ হয়ে যায়। কিন্তু ৩৪ ধারায় অপরাধ সংগঠিত হওয়া বাধ্যতামূলক। এই ধারায় দণ্ডবিধি কোন অপরাধ সৃষ্টি করে নাই বরং অপরাধ করবার ক্ষেত্রে যৌথ-অপরাধীদের দায়িত্ব বর্ণনা করেছে।

11.  Injury এর সংজ্ঞা কত ধারায় প্রদান করা হয়েছে?
-   ৪৩
-   ৪৪
-   ৪৫

12. Voluntarily এর সংজ্ঞা কত ধারায় প্রদান করা হয়েছে?
-   ৩৯
-   ৪০
-   ৫১

13. কেউ যদি কোন সম্পত্তি অবৈধ ভাবে লাভ করে তবে তার বিরিদ্ধে কি ধরনের মামলা হতে পারে ?
-   দেওয়ানী মামলা
-   ফৌজদারি মামলা

14. একজন ব্যাক্তি কোন একটি কাজ করতে বাধ্য, তবে সে সেই কাজটী করল না, তাহলে সে
-   অপরাধমূলক কাজ করেছে।
-   অবৈধ কাজ করেছে।

15. অবৈধ কর্মবিচ্যুতি (illegal omission) কে এই বিধির কত ধারায় অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে?
-   ৩২
-   ৩৩
-   ৩৪